নিজস্ব প্রতিনিধি, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, শিলিগুড়ি: কে যোগ্য, কে অযোগ্য তা আদালত প্রমাণ করতে পারলো না। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের এর আগেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। “রায় শোনার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি”, সোমবার হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারানোর পর এমনটাই বললেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়।
গতবছর ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক নম্বর ত্রুটিপূর্ণ থাকায়, তাঁর দেওয়া চাকরি ফিরিয়ে নেয় আদালত। এরপর অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো চাকরিতে যোগ দেন অনামিকা। জলপাইগুড়ির হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি এর ২০১৬ এর পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। তাতে চাকরি হারালেন অনামিকা রায়।
সোমবার রায় জানার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। রায় শোনার পর জানান, “হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি, এই রায়ের জন্য তৈরি ছিলাম না। দীর্ঘ লড়াই এর পর শিক্ষিকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আজকে এই রায়তে ভেঙে পড়েছি। এরকম রায় হবে ভাবতে পারিনি, যোগ্যদের সমস্যায় পড়তে হবেনা ভেবেছিলাম। এই রায়ের পর মনে হচ্ছে বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখা কী ভুল ছিল? যোগ্যদের কথা ভাবা হল না, যোগ্যদের গুরুত্ব থাকলো না”। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে ফের তিনি আইনি লড়াইয়ের পথে যেতে পারেন বলে জানান তিনি।